Academy

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানায় রয়েছে শত বছরের পুরাতন কিছু গাছ। গাছগুলো দেখলে একরকমের মায়া সৃষ্টি হয়। কিছুদিন পূর্বে বনদস্যুরা এ অঞ্চলের একটি পুরনো গাছ কাটার চেষ্টা করে। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষ দৃঢ়ভাবে তার প্রতিরোধ করায় দুর্বৃত্তদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তাছাড়া গাছগুলোর গায়ে তারা যতদূর সম্ভব এর ইতিহাস ও প্রজাতিগত বিবরণ লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। তাদের গৃহীত এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে গাছগুলো সম্পর্কে একদিকে যেমন জানা সম্ভব হচ্ছে, অন্যদিকে প্রকৃতির প্রতি ঐ অঞ্চলের মানুষের সহানুভূতিশীল মনের পরিচয়ও প্রকাশ পাচ্ছে।

মৌসুমি ফুলের গান বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)

Created: 1 month ago | Updated: 1 month ago
Updated: 1 month ago
Ans :

মৌসুমি ফুলের গান বলতে প্রতিটি মৌসুমে ফোটা ফুলের প্রশংসা বা স্তুতি করে গাওয়া গানকে বোঝানো হয়েছে।

ঋতুপরিবর্তনের ফলে প্রতিটি মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে। এই ফুল নিয়ে কবি কবিতা লেখেন, শিল্পী গান করেন। মৌসুমি এসব ফুলের স্তৃতি করে গাওয়া গানকে মৌসুমি ফুলের গান বলে বোঝানো হয়েছে।

1 month ago

সাহিত্য কনিকা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

'বৃক্ষের বক্ষের বহ্নিজ্বালা' বলতে বৃক্ষনিধনে বৃক্ষের বুকে সৃষ্টি হওয়া যন্ত্রণার আগুনকে বোঝানো হয়েছে।

'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতায় কবি চারদিকে বৃক্ষনিধনে শূন্যতার হাহাকার ধ্বনি শুনতে পেয়েছেন। মানুষ তার প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত বৃক্ষনিধন করে চলছে। ফলে বন উজাড় হচ্ছে। চারদিকে রুক্ষতা, শূন্যতা বিরাজ করছে। তাই বৃক্ষের বুকে যন্ত্রণার আগুন জ্বলছে। প্রশ্নোক্ত চরণটির মাধ্যমে বৃক্ষের এই যন্ত্রণাকেই বোঝানো হয়েছে।

দোয়েলের অভিব্যক্তিতে 'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতার কবির মানসিকতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

বৃক্ষ মানুষ ও পরিবেশের জন্য অতি উপকারী একটি উপাদান। মানুষ তার ক্ষুদ্র স্বার্থে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন করছে। এতে মানুষ ও প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

উদ্দীপকের দোয়েলের চোখে-মুখে বাসা হারানোর বেদনা। দোয়েল আর গান গায় না। এ দোয়েল যেন কবি সুফিয়া কামালের মানসিকতার বৈশিষ্ট্যই ধারণ করেছে। কারণ কবি চারপাশের অরণ্য নিধন লক্ষ করে ব্যথিত। মৌসুমি ফুলের গান আর তাঁর কণ্ঠে জাগে না। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের দোয়েলের অভিব্যক্তিতে 'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতার কবির সেই মানসিকতাই ফুটে উঠেছে।

উদ্দীপকের নিলয়ের কর্মকাণ্ডের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। বক্তব্যটি যথার্থ।

বৃক্ষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বৃক্ষ আছে বলে এ পৃথিবীর বুকে জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাচ্ছে।

উদ্দীপকের নিলয় বাড়ির আঙিনার খালি জায়গায় ফল ও অন্যান্য গাছ রোপণ করে। গাছগুলোকে সে ভালোবাসে, যত্ন নেয়। পাখিরা নিলয়ের বাগানে চলে আসে। তারা গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। নিলয়ের বাগান দেখে অনেকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হয়। আলোচ্য কবিতার কবিও চান পৃথিবীর বুকে গাছপালা ধ্বংস না হয়ে প্রচুর পরিমাণে জন্মাক। তিনি চান দিকে দিকে আবার সবুজ বৃক্ষের সমারোহ সৃষ্টি হোক, পৃথিবী ফুলে ও ফসলে ভরে উঠুক।
পরিবেশের ভারসাম্য তথা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে বৃক্ষের কোনো বিকল্প নেই। তাই বৃক্ষনিধন না করে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। বৃক্ষকে ভালোবাসতে হবে, ধ্বংস করা যাবে না। কবি আলোচ্য কবিতার মধ্য দিয়ে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, যা উদ্দীপকে নিলয়ের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি যথার্থ।

'ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি' বলতে কবি ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থাকে বুঝিয়েছেন।

মানুষ নিজের প্রয়োজনে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে, বৃক্ষনিধনের মধ্য দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে রূঢ় আচরণ করছে। প্রকৃতিও এ কারণে মানুষের সঙ্গে বিরূপ আচরণ শুরু করছে। প্রকৃতিতে ফুল ও ফসলের সম্ভার কমে যাওয়ায় মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় মানুষ ভীত। 'ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি' বলতে
কবি সেই ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থাকেই বুঝিয়েছেন।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...